ঈদ স্পেশাল ‘সেমাই জর্দা’
ঈদের দিন সকালে সেমাই না খেলে কি আর সেদিনকে ঈদ মনে হবে।ঈদের সাথে সেমাই এর যেন কেমন একটা আলাদা সম্পর্ক।
তাই ঈদের দিন সকালে সেমাই চাই ই চাই।আর বাংলাদেশের নারীরাও চান সকালে পরিবারের সদস্যদের মজার কোন সেমাই খাওয়াতে।
আর এমন বাঙ্গালী নারীর জন্যই আজ থাকছে ঈদ স্পেশাল “সেমাই জর্দা”।
উপকরণঃ
কুলসন সেমাই – ১ প্যাকেট
(কুলসন সেমাই না পেলে, যেকোন দেশি সেমাই, যাকে অনেকে বাংলা সেমাই বলে থাকেন, একটু লালচে রং-এর খোলা সেমাইটাই আসলে বাংলা সেমাই নামে পরিচিত)
চিনি – ২ কাপ
নারকেল কুরানো – ১ কাপ
কিশমিশ – ২ টেবিল চামচ
চীনা বাদাম (ভাজা) – ৩ টেবিল চামচ
দারুচিনি – ৩ টুকরা
তেজপাতা – ২ টা
ঘি – ৪ টেবিল চামচ
পানি – ২ কাপ
লবন – পরিমাণমতো
প্রণালীঃ
চুলাতে কড়াই চাপিয়ে আগুনের আচেঁ কড়াইয়ের ভেতরটা শুকাতে দিন। এবার গরম কড়াইতে ঘি দিয়ে দিন। ঘি সামান্য গরম হলে ১ প্যাকেট সেমাইয়ের অর্ধেকটা এই গরম ঘিয়ে ঢেলে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট নাড়ুন, সেমাইটা ঘিয়ে ভাজা হবে। এবার চিনি দিয়ে নেড়ে দিন ভাল করে।
এবার এতে কুরানো নারকেল দিয়ে নাড়তে থাকুন, কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে দিন আর চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন । পানি শুকিয়ে আসলে বাদাম, কিশমিশ, তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে আরো মিনিট দশেক মৃদু জ্বালে দমে রাখুন । সেমাই ঝরঝরে হলে নামিয়ে পরিবেশণ করুন ।
টিপসঃ
সেমাইটা সরাসরি ঘিয়ে না দিয়ে একটু প্রসেস করে নিতে পারেন, এতে সেমাইটা নরম হবে। কি করতে হবে বলছি – আলাদা পাত্রে পানি গরম করে তাতে সেমাইটা মিনিট পাচেক সিদ্ধ হতে দিন, এবার একটা ঝাঁঝরিতে গরম পানি সহ সিদ্ধ সেমাইটা ঢেলে দিন, পানি ঝরে যাবে। এবার সাথে সাথেই সিদ্ধ গরম সেমাইটার উপর ঠান্ডা পানির ধারা দিন, তাতে সেমাইটা ঝরঝরে হয়ে যাবে আর ঠান্ডা হবে। এ অবস্থায় সেমাইটা পাতিলে গরম ঘিয়ে ঢেলে দিন।
প্রতিক্ষণ/নির্ঝর/এডি/তাজিন